কাসীদায়ে শাহ্ নিয়ামতউল্লাহ- বিস্ময়কর ভবিষ্যদ্বাণী সম্বলিত এক কাশফ ও ইলহামের কাসীদা। জগদ্বিখ্যাত ওলীয়ে কামেল হযরত শাহ নিয়ামতউল্লাহ (র) আজ থেকে ৮৫২ বছর পূর্বে হিজরী ৫৪৮ সাল মুতাবিক ১১৫২ খ্রিস্টাব্দে রচনা করেন এ কাসীদা। কালে কালে তাঁর এ কাসীদার এক-একটি ভবিষ্যদ্বাণী ফলে গেছে আশ্চর্যজনকভাবে। মুসলিম জাতি বিভিন্ন দুর্যোগকালে এ কাসীদা পাঠ করে ফিরে পেয়েছে তাদের হারানো প্রাণশক্তি, উদ্দীপিত হয়ে ওঠেছে নতুন আশায়। ইংরেজ শাসনের ক্রান্তিকালে এ কাসীদা মুসলমানদের মধ্যে মহাআলোড়ন সৃষ্টি করে। এর অসাধারণ প্রভাব লক্ষ্য করে ব্রিটিশ বড়লাট লর্ড কার্জনের শাসনামলে (১৮৯৯-১৯০৫) এ কাসীদা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। ফারসী ভাষায় রচিত হযরত শাহ নিয়ামতউল্লাহ (র)-এর এ সুদীর্ঘ কবিতায় ভারত উপমহাদেশ তথা সমগ্র বিশ্বের ঘটিতব্য বিষয় সম্পর্কে অনেক ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে। আল্লাহর অনেক প্রিয় বান্দাগণ মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে গায়েবের বিষয় সম্পর্কে ইলহাম পেয়ে থাকেন।মনে রাখতে হবে যে, কোন সৃষ্টি জীবের নিজস্ব কোন ক্ষমতা নেই যে, সে ইচ্ছা করলেই গায়েবের বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারে। বরং আল্লাহ যাকে ইচ্ছা তাকে এই জ্ঞান দান করে থাকেন। উপমহাদেশের ইলমী জনক শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী রহঃ তার ইলহামী ইলম দিয়ে বিখ্যাত গ্রন্থ সাওয়াতিউল ইলহাম রচনা করেন।
অনুরূপ হযরত শাহ নেয়ামতউল্লাহ রহঃ তার ইলহামী জ্ঞানের কিছু অংশ একটি কবিতায় প্রকাশ করেছেন। এটি লিখার পর থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত প্রতিটি ভবিষ্যৎবাণী হুবহু মিলে গিয়েছে।কবিতার ৩৭ নং প্যারা থেকে বিশেষভাবে খেয়াল করুন।কারণ এর পূর্বের লাইনগুলো অক্ষরে অক্ষরে মিলে যাওয়ায় শুধুমাত্র বর্তমান ও ভবিষতে কি ঘটতেপারে এটাই আমাদের দেখার বিষয়কিছুটা দীর্ঘ হলেও ধৈর্য সহকারে পড়লে “গাজওয়াতুল হিন্দ” সম্পর্কে একটি ভাল ধারণা পাওয়া যাবে ইনশা আল্লাহ। আমাদের দূর্ভাগ্যই বলা চলে, পাকিস্তানি মুসলিম ভাইদের মাঝে কাসীদাগুলো বেশ পরিচিত, প্রসিদ্ধ এবং সমাদৃত অথচ বাংলাদেশে এ সম্পর্কে আমাদের কোনো জ্ঞানই নেই। কবিতাটি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রকাশিত “কাসিদায়ে সাওগাত” বইতে পাবেন। এই ছাড়াও মদিনা পাবলিকেশন্স থেকে প্রকাশিত “মুসলিম পুনঃজাগরণ প্রসঙ্গ ইমাম মাহদি” বইতেও পাবেন। মাহমুদ প্রকাশনী থেকেও এটি বাংলাদেশে ১৯৯৬ সালে প্রকাশিত হয় “শাহ্ নেয়ামতুল্লাহ রহঃ এর ভবিষ্যৎবাণী” নামে। আর যারা উর্দু বুঝেন তারা এই নিয়ে ৮ পর্বের সিরিজ আলোচনা শুনতে পারেন, পাকিস্তানী বিশেষজ্ঞ জায়েদ হামিদ খুব সুন্দর করে ব্যাখ্যা সহকারে উনার সকল ভবিষ্যৎবাণী (ইলহাম) তুলে ধরেছেন। বাংলা ভাষায় রুহুল আমীন খান অনূদিত শাহ নিয়ামতুল্লাহ রহঃ এর একটি কবিতা ১৯৭০/৭১ এর দিকে এদেশে প্রকাশিত হয়েছিল। নিম্নে এ কাসীদার সারমর্ম প্রদত্ত হলো।
অনুরূপ হযরত শাহ নেয়ামতউল্লাহ রহঃ তার ইলহামী জ্ঞানের কিছু অংশ একটি কবিতায় প্রকাশ করেছেন। এটি লিখার পর থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত প্রতিটি ভবিষ্যৎবাণী হুবহু মিলে গিয়েছে।কবিতার ৩৭ নং প্যারা থেকে বিশেষভাবে খেয়াল করুন।কারণ এর পূর্বের লাইনগুলো অক্ষরে অক্ষরে মিলে যাওয়ায় শুধুমাত্র বর্তমান ও ভবিষতে কি ঘটতেপারে এটাই আমাদের দেখার বিষয়কিছুটা দীর্ঘ হলেও ধৈর্য সহকারে পড়লে “গাজওয়াতুল হিন্দ” সম্পর্কে একটি ভাল ধারণা পাওয়া যাবে ইনশা আল্লাহ। আমাদের দূর্ভাগ্যই বলা চলে, পাকিস্তানি মুসলিম ভাইদের মাঝে কাসীদাগুলো বেশ পরিচিত, প্রসিদ্ধ এবং সমাদৃত অথচ বাংলাদেশে এ সম্পর্কে আমাদের কোনো জ্ঞানই নেই। কবিতাটি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রকাশিত “কাসিদায়ে সাওগাত” বইতে পাবেন। এই ছাড়াও মদিনা পাবলিকেশন্স থেকে প্রকাশিত “মুসলিম পুনঃজাগরণ প্রসঙ্গ ইমাম মাহদি” বইতেও পাবেন। মাহমুদ প্রকাশনী থেকেও এটি বাংলাদেশে ১৯৯৬ সালে প্রকাশিত হয় “শাহ্ নেয়ামতুল্লাহ রহঃ এর ভবিষ্যৎবাণী” নামে। আর যারা উর্দু বুঝেন তারা এই নিয়ে ৮ পর্বের সিরিজ আলোচনা শুনতে পারেন, পাকিস্তানী বিশেষজ্ঞ জায়েদ হামিদ খুব সুন্দর করে ব্যাখ্যা সহকারে উনার সকল ভবিষ্যৎবাণী (ইলহাম) তুলে ধরেছেন। বাংলা ভাষায় রুহুল আমীন খান অনূদিত শাহ নিয়ামতুল্লাহ রহঃ এর একটি কবিতা ১৯৭০/৭১ এর দিকে এদেশে প্রকাশিত হয়েছিল। নিম্নে এ কাসীদার সারমর্ম প্রদত্ত হলো।
ভারতীয় উপমহাদেশেঃ
১. এখানে তুর্কী মুঘলদের সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হবে, ২. তাদের পতনের পর প্রতিষ্ঠিত হবে ভিনদেশী খ্রিস্টানদের রাজত্ব, ৩. তাদের শাসনকালে মহামারী আকারে প্লেগ এবং চরম দুর্ভিক্ষ দেখা দিবে এবং এতে বহু প্রাণহানি ঘটবে, ৪. দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পরে ইংরেজরা ভারত উপমহাদেশ ছেড়ে চলে যাবে কিন্তু এখানে অঞ্চলে-অঞ্চলে, সম্প্রদায়ে-সম্প্রদায়ে স্থায়ী শত্রুতার বীজ বপন করে যাবে, ৫. ভারত বিভক্ত হয়ে দুটি পৃথক রাষ্ট্রের সৃষ্টি হবে, ৬. অযোগ্য লোকেরা শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবে, ৭. মানুষের আইন-কানুনের প্রতি কোন শ্রদ্ধা থাকবে না, ঘুষ, দুর্নীতি, অশ্লীলতা, জেনা, ব্যাভিচার, অরাজকতার সয়লাব সৃষ্টি হবে (উপরোক্ত ভবিষ্যদ্বাণীগুলো ইতোমধ্যে হুবহু বাস্তবায়িত হয়েছে)।
৮. মুসলমানদের উপর বিধর্মীরা মহা যুলম ও অত্যচার চালাবে, তাদের জানমালের কোন মূল্য থাকবে না, তাদের রক্তের সাগর বয়ে যাবে, ঘরে ঘরে কারবালার মত আহাজারী সৃষ্টি হবে, ৯. এরপর পাঞ্জাবের প্রাণকেন্দ্র মুসলমানদের দখলে আসবে, হিন্দুরা সেখান থেকে পালিয়ে যাবে, ১০. অনুরূপ হিন্দুরা মুসলমানদের একটি বৃহৎ শহর দখল করে নিয়ে পাইকারীভাবে মুসলিম নিধন চালাবে, ১১. নামধারী এক মুসলিম নেতা এক জঘন্য চুক্তি স্থাপন করে হিন্দুদের সাহায্য করবে, ১২. এরপর দুই ঈদের মধ্যবর্তী এক সময়ে বিশ্ব জনমত হিন্দুদের বিপক্ষে চলে যাবে, ১৩. মুহররম মাসে মুসলমানরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে বীর বিক্রমে অগ্রসর হবে, ১৪. সাহেবে কিরান ও হাবীবুল্লাহ নামের দুই মহান নেতা মুসলিম ফৌজের নেতৃত্বে দিয়ে প্রচণ্ড লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পরবে, ১৫. সীমান্তের মুসলিম বীরগণ বীরদর্পে ভারতের দিকে অগ্রসর হবে, ১৬. ওদিকে ইরানী, আফগান ও দক্ষিণা সেনাগণও সম্মিলিতভাবে আক্রমণ করে সমগ্র ভারতবর্ষ বিজয় করে বিজয় ঝাণ্ডা উড্ডীন করবে, ১৭. উপমহাদেশব্যাপী ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে, ১৮. কোথাও দীন-ঈমান বিরোধী কোন তৎপরতা আর অবশিষ্ট থাকবে না, ১৯. ছয় অক্ষরবিশিষ্ট নাম যার প্রথম অক্ষর ‘গাফ’ এমন এক সুবিখ্যাত হিন্দু বণিক ইসলাম গ্রহণ করে মুসলিম পক্ষে যোগদান করবে।
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেঃ
১. রাশিয়া ও জাপানে প্রচণ্ড লড়াই হবে, ২. অবশেষে তাদের মধ্যে সন্ধি হবে কিন্তু তা স্থায়ী হবে না, ৩. জাপানে ভয়াবহ এক ভূমিকম্প হবে, ৪. ইউরোপে চার বছর ব্যাপী এক মহাযুদ্ধ হবে (প্রথম মহাযুদ্ধ)। এতে এক কোটি ত্রিশ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটবে, ৫. প্রথম মহাযুদ্ধের ২১ বছর পর দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ শুরু হবে, ৬. এর এক পক্ষে থাকবে ইংল্যাণ্ড, আমেরিকা, চীন ও রাশিয়া, অপর পক্ষে থাকবে জার্মান, জাপান ও ইটালী, ৭. বিজ্ঞানীগণ এ যুদ্ধে অতি ভয়াবহ আণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে, ৮. প্রাচ্যে বসে পাশ্চাত্যের কথা ও সঙ্গীত শ্রবণের যন্ত্র আবিষ্কৃত হবে, ৯. দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ ছয় বছর স্থায়ী হবে এতে জানমালের অপরিমেয় ক্ষয়ক্ষতি হবে, ১০, দুনিয়াব্যপী যুলম-অত্যাচার, নগ্নতা, অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়বে (উপরোক্ত ভবিষ্যৎবাণীসমূহ ইতোমধ্যে হুবহু বাস্তবায়িত হয়েছে)।
১১. পাশ্চাত্যের দাম্ভিক ক্ষমতাসীনরা ক্ষমতার মদে মত্ত হয়ে সারা দুনিয়ায় যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, তার চরম পরিণতি ভোগ থেকে তাদের নিস্তার নেই, ১২. তৃতীয় মহাযুদ্ধ সংঘটিত হয়ে পাশ্চাত্য সভ্যতা চিরদিনের জন্য ধ্বংস হয়ে যাবে। আলিফ অদ্যাক্ষরের দেশের (ইংল্যাণ্ড বা আমেরিকা হতে পারে) কোন চিহ্ন থাকবে না। কেবল ইতিহাসেই তার নাম অবশিষ্ট থাকবে, ১৩. খ্রিস্টশক্তির চূড়ান্ত পতন সাধিত হবে। তারা আর কোনদীন মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না। ১৪. এ সময় দুনিয়ার বুকে আবির্ভূত হবেন হযরত মাহদী।
আলোচিত মহা আলোড়ন সৃষ্টিকারী এবং যুগে যুগে ফলে যাওয়া ভবিষ্যৎবাণীসমূহঃ
· প্রথম বিশ্বযুদ্ধ সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী
· দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী
· দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পারমাণবিক বোমা ব্যবহারের ব্যাপারে ভবিষ্যদ্বাণী
· হিন্দু কতৃক বাংলাদেশ দখল সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী
· আমাদের দেশের একজন মুনাফিক নেতার নামের প্রথম ও শেষ অক্ষর সহ ভবিষ্যদ্বাণী যে কিনা এদেশকে মুশরিকদের হাতে তুলে দিতে সাহায্য করবে
· গাজওয়ায়ে হিন্দ সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী
· তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ এবং মানচিত্র থেকে আমেরিকা/ইংল্যান্ডের নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে ভবিষ্যদ্বাণী
· ইমাম মাহদী এর আগমনের ব্যাপারে ভবিষ্যদ্বাণী

No comments:
Post a Comment